Posts

অনন্য গর্ব ও অহংকারের একটি নাম : জিয়াউর রহমান👮

Image
জিয়াউর রহমান দেশের ইতিহাসে আলোচিত এক বীরের নাম। আজ ৩০ মে এই সাবেক রাষ্ট্রপতির ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৮১ সালের এই দিনে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্যের হাতে তিনি নিহত হন। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার (বীর উত্তম) ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। টাইগার বলতে এখন আমরা আমাদের ক্রিকেটারদের বুঝি,  কিন্তু উনার সময়ে যুদ্ধের ময়দানে শত্রুপক্ষকে টাইগার শব্দটি বললেই উনার ছবি বা চেহারা শত্রুর সামনে ভেষে উঠতো। উনার জেড ফোর্সকে ওইসময় টাইগার ফোর্স নামে ডাকা হতো। উনি সেই টাইগার ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। তার জীবনে তিনি যুদ্ধ করেছেন ২ দেশের বিরুদ্ধে ২ দেশের যোদ্ধা, ২ যুদ্ধেই তিনি বিজয়ী হয়ে ফিরেছেন বীরের বেশে। ২ যুদ্ধেই তার বীরত্বের জন্য তার দেশের সরকার সর্বোচ্চ জীবিত বীরের সম্মাননা তাকে প্রদান করে,  যা ইতিহাসে বিরল ঘটনা। পাক-ভারত যুদ্ধে (১৯৬৫) তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর  অফিসার হিসেবে যুদ্ধ করে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে পরাজিত করে সেইসময় পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ শহর   করাচীকে রক্ষা করেছিলেন তিনি, যার জন্য তার বীরত্বের সম্মাননা স্ব...

একজন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও নষ্ট প্রজন্মের ট্রল সংস্কৃতি!

Image
পোলাপাইন ডা.জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে গালাগালি করছে কিট নিয়ে। কিট যে ডা. জাফরুল্লাহ বানায়নি তাই জানে না। আর ডা. বিজন শীল কে...? তার সম্পর্কেও ধারণা নাই। তারপরও ব্যাপক গালাগালি চলছে..... যারা ডা. জাফরউল্লাহকে ছোট করে কথা বলছেন, খাটো করে দেখছেন তারা ডা. জাফরুল্লাহ সম্পর্কে একটু জেনে কথা বলবেন। চট্টগ্রামের ছেলে জাফরুল্লাহর বাবা নিজেই তার সন্তানের শিক্ষক ছিলেন কিন্তু জাফরুল্লাহর বাবার সরাসরি শিক্ষক ছিলেন স্বয়ং বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্যসেন। তাই "সত্যি মুখের উপর বলার শিক্ষা" তার ডিএনএ তে কোথা থেকে এসেছে তা আপনাদের বুঝা উচিৎ। ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট শেষ করার পর ভর্তি হন ঢাকা মেডিকেল কলেজে। ছাত্র থাকা অবস্থাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজের দুর্নীতির বিরুদ্ধে করেছিলেন সংবাদ সম্মেলন। ১৯৬৪ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এম.বি.বি.এস শেষ করার পর ১৯৬৭ সালে ইংল্যান্ডের রয়েল কলেজ অব সার্জনস থেকে  FRCS   প্রাইমারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। কিন্তু চূড়ান্ত পর্ব শেষ না হতেই দেশের টানে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে দেশে ফিরে আসেন। পাকিস্থানি বাহিনীর নির্মমতার প্রতিবাদে লন্ডনের হাইডপার্কে যে কয়জন বাঙ্গালী পাসপোর...

এটাই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ না তো.....?

Image
ছবিটা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ এর আবহাওয়ার প্রকাশ  নয় কি❓ ঠিক এভাবেই বিশ্বটাকে হাতের মুঠোয় নিয়ে নাচাতে চাচ্ছে নাতো চীন.?  চীন খুব দ্রুত করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পাচ্ছে। একের পর এক অস্থায়ী হাসপাতাল বন্ধ করছে। উহানে নতুন করে মাত্র একজনের সংক্রমণ ঘটেছে গোটা চিনে মাত্র ১৩ জন। বেশ অবাক লাগছে না ভাবতে?! মনে হচ্ছে না এটা কি ভাবে সম্ভব?! আর একটু অবাক হবেন এটা জানলে একের পর এক বিদেশী মিডিয়া ওয়াশিংটন পোস্ট, নিউ ইয়র্ক টাইমস, দ্যা গার্ডিয়ান আরো অনেক দেশের মিডিয়া কে দেশ থেকে বার করে দিচ্ছে যাতে তারা চীনের কোনো খবরই প্রকাশ না করতে পারে। অন্যদিকে ইতালি, ব্রিটেন, ফ্রান্স, আমেরিকা, ইরান ক্রমশঃ-ভয়াবহ স্টেজ এ পৌঁছাচ্ছে। আমেরিকার, ইউরোপের স্টক মার্কেট ও ক্র্যাশ করে গেছে। বিশ্ব জুড়ে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি অথচ একটু চাইনিজ মিডিয়া ফলো করুন দেখবেন কি দারুন দৃশ্য। সবাই মাস্ক খুলে ফেলছে, একে অপরকে জড়িয়ে ধরছে, হিরো দের মতো ওয়েলকাম হচ্ছে সবার। বেশ অবাক লাগছে না দেখে?! এত বড় ক্রাইসিস অথচ এত ফাস্ট রিকভারি?! শেয়ার মার্কেট থেকে কার্রেনসি ড্রপ কোনো কিছুতেই আঘাত লাগলো না। এতোই উন্নত ষোলো খানা হাসপাতাল রাতারা...

বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ : দ্যা ডাইহার্ড স্কার্মিশার (ওয়ান ম্যান আর্মি)

Image
১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নড়াইল জেলার মহিষখোলা গ্রামের এক দরিদ্র পরিবারে নূর মোহাম্মদ শেখ জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মোহাম্মদ আমানত শেখ, মাতা জেন্নাতুন্নেসা। অল্প বয়সে বাবা-মাকে হারান তিনি। ফলে শৈশবেই ডানপিটে হয়ে পড়েন। স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের লেখাপড়া শেষ করে উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সপ্তম শ্রেণির পর আর পড়াশোনা করেননি। ১৯৫২ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে নিজ গ্রামেরই সম্পন্ন কৃষক ঘরের মেয়ে তোতাল বিবিকে বিয়ে করেন; স্ত্রী তোতাল বিবির বয়স তখন মাত্র ১২ বছর। ১৯৫৪ সালের শেষ ভাগে জন্ম নেয় তাদের প্রথম সন্তান হাসিনা খাতুন। সংসারে অভাবের ছোঁয়া লাগায় দিশেহারা হয়ে যোগ দেন মুজাহিদ বাহিনীতে। ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৯, তদানীন্তন ইপিআরে সৈনিক হিসেবে যোগ দেন। ১৫ নভেম্বর ১৯৬৪, জন্মগ্রহণ করে তার দ্বিতীয় সন্তান শেখ মো. গোলাম মোস্তফা এবং তোতল বিবি মারা যান। কিছুদিন পরেই আত্মীয়স্বজনদের অনুরোধে বিয়ে করেন মৃত শ্যালকের স্ত্রী ফজিলাতুন্নেসাকে। ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধে দিনাজপুর সেক্টরে যুদ্ধরত অবস্থায় আহত হন। যুদ্ধ শেষে তিনি ‘তকমা-ই-জং’ ও ‘সিতারা-ই-হারব’ মেডেল লাভ করেন। ১৯৭০ সালের ১০ জুলাই নূর মোহাম্ম...

শহীদ তিতুমীরের জন্মদিন আজ

Image
মহাবীর তিতুমীরের প্রকৃত নাম সৈয়দ মীর নিসার আলী। তিনি ছিলেন একজন ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবী নেতা। ১৭৮২ সালে আজকের এ দিনে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশপরগনা জেলার হায়দারপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মহাবীর তিতুমীর। আজ তার ২২৭ তম জন্মদিন। তিতুমীর ১৮২২ সালে হজব্রত পালনের জন্য মক্কা শরীফ যান এবং সেখানে তিনি বিখ্যাত ইসলামি ধর্মসংস্কারক ও বিপ্লবী নেতা সাইয়িদ আহমদ বেরেলীর সান্নিধ্য লাভ করেন। সাইয়িদ আহমদ তাকে বাংলার মুসলমানদের অনৈসলামিক রীতিনীতির অনুশীলন এবং বিদেশি শক্তির পরাধীনতা থেকে মুক্ত করার কাজে উদ্বুদ্ধ করেন। ১৮২৭ সালে তিতুমীর নিজ গ্রামের দরিদ্র কৃষকদের নিয়ে জমিদার ও ব্রিটিশ নীলকরদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যে ক’জন বাঙালি বিপ্লবী সাড়া জাগিয়েছিলেন তাদের মধ্যে শহীদ তিতুমীরের অবস্থান সামনের কাতারে। সমরশক্তি ছাড়া শুধুমাত্র মানসিক পরাক্রম দ্বারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে তার সাহসিকতার স্ফুলিঙ্গ তাকে নিয়ে গেছে অনন্য এক উচ্চতায়। নিজের জীবনের বিনিময়েও অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করেননি কখনো। ছিলেন ধর্মপ্রাণ, কিন্তু অত্যাচার করেননি অন্য কোনো ধর্মীয় গোষ্ঠীকে। বারাসতের নারিকেলবাড়িয়া গ্রামে...

Shaheed President Ziaur Rahman : The Captain of Bangladesh

Image
Bangladesh would have been a different country today! At the age of 29, he won his first war time gallantry award and became a Major of the armed forces. At the age of 35 he stood up to the occasion of his nation's worst crisis, declared the official war of independence of his country.  By the age of 36 he was awarded his nation's highest military gallantry for the living people, became a Major General and Deputy commander in chief of Bangladesh armed forces. By the age of 40 he lead a successful revolution and again saved the country from the brink of certain disintegration. By 41, he became a Lieutenant General of Bangladesh armed forces, by 42, the elected president of Bangladesh. His life ended at the age of 45. A man who was not the leader....." but The Captain of Bangladesh ❤ He would have been 84 years old today. This country has been deprived of 39 years of his service. Were that he lived and could serve 39 more years, Bangladesh would have been a diffe...

বাংলাদেশী সঙ্গীতের বরপুত্র : হ্যাপী আখন্দ

Image
হ্যাপী আখন্দ একজন বাংলাদেশী গায়ক এবং সংগীত আয়োজক। তাঁকে বাংলাদেশী সঙ্গীতের বরপুত্র বলা হত। তিনি আর ডি বর্মণ,আববাসউদ্দীন,মান্না দে, সমর দাশের মতো সংগীতজ্ঞের প্রশংসা আর স্নেহ অর্জন করেছিলেন নিজ যোগ্যতায়। হ্যাপী আখন্দের জন্ম হয় ঢাকার পাতলা খান লেনে ১২ অক্টোবর, ১৯৬৩। জন্মের সময় তাঁর ভাই লাকী আখান্দ তাঁর হাতে একটি পয়সা গুজে দিয়েছিলেন এবং প্রায় ৪-৫ দিন পর তিনি হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পরও তাঁর হাতে গুজে দেওয়া পয়সাটা ছিল। ছোটবেলায় ভাত খাওয়ার সময় তিনি কাকদের ডেকে ডেকে ভাত খাওয়াতেন। তিনি কোন বিষয় সম্পর্কে একবার শুনলেই মুখস্থ করে ফেলতেন। মাত্র ১০ বছর বয়সে তাঁর হাতে গিটারের তাল ধরা দেয়। শুরুর দিকে হ্যাপী আখন্দ ভাই লাকী আখন্দের সাথে বিভিন্ন কনসার্টে অংশ নিতেন তবলা বাজানোর জন্য। হ্যাপী আখন্দ 'উইন্ডি সাইড অব কেয়ার' নামে একটি ব্যান্ড গড়েছিলেন যা ছিল একটি পাকিস্তানি ব্যান্ড।সেখানে তিনি দক্ষ হাতে গিটার বাজানোর পাশাপাশি গানও গাইতেন। কলকাতার মধু মুখার্জি ছিলেন তাঁর ছাত্র। ১৯৭৫ সালে 'আবার এলো যে সন্ধ্যা' গানটি লিখেছিলেন এসএম হেদায়েত এবং সুর করেছিলেন লাকী আখন্দ।...