একজন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও নষ্ট প্রজন্মের ট্রল সংস্কৃতি!
পোলাপাইন ডা.জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে গালাগালি করছে কিট নিয়ে। কিট যে ডা. জাফরুল্লাহ বানায়নি তাই জানে না। আর ডা. বিজন শীল কে...? তার সম্পর্কেও ধারণা নাই। তারপরও ব্যাপক গালাগালি চলছে.....
যারা ডা. জাফরউল্লাহকে ছোট করে কথা বলছেন, খাটো করে দেখছেন তারা ডা. জাফরুল্লাহ সম্পর্কে একটু জেনে কথা বলবেন।
চট্টগ্রামের ছেলে জাফরুল্লাহর বাবা নিজেই তার সন্তানের শিক্ষক ছিলেন কিন্তু জাফরুল্লাহর বাবার সরাসরি শিক্ষক ছিলেন স্বয়ং বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্যসেন। তাই "সত্যি মুখের উপর বলার শিক্ষা" তার ডিএনএ তে কোথা থেকে এসেছে তা আপনাদের বুঝা উচিৎ। ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট শেষ করার পর ভর্তি হন ঢাকা মেডিকেল কলেজে। ছাত্র থাকা অবস্থাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজের দুর্নীতির বিরুদ্ধে করেছিলেন সংবাদ সম্মেলন।
১৯৬৪ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এম.বি.বি.এস শেষ করার পর ১৯৬৭ সালে ইংল্যান্ডের রয়েল কলেজ অব সার্জনস থেকে FRCS প্রাইমারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। কিন্তু চূড়ান্ত পর্ব শেষ না হতেই দেশের টানে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে দেশে ফিরে আসেন। পাকিস্থানি বাহিনীর নির্মমতার প্রতিবাদে লন্ডনের হাইডপার্কে যে কয়জন বাঙ্গালী পাসপোর্ট ছিড়ে আগুন ধরিয়ে রাষ্ট্রবিহীন নাগরিকে পরিণত হয়েছিল তাদের একজন ডা. জাফরুল্লাহ। মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের আর্থিক সহায়তার জন্য বিচারপতি আবু সাইদ চৌধুরী প্রবাসী বাঙ্গালীদের কাছ থেকে ১০ লাখ পাউন্ড চাঁদা যোগাড় করেছিলেন। তিনি কাজটি করেছিলেন ডা. জাফরুল্লাহর পরামর্শে।
আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য ডা. জাফরুল্লাহ ২ নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার মেজর খালেদ মোশাররফের সহযোগিতায় আগরতলার বিশ্রামঘরের মেলাঘরে গড়ে তুলেছিলেন ৪৮০ শয্যা বিশিষ্ট প্রথম ফিল্ড হসপিটাল " বাংলাদেশ হসপিটাল" হসপিটালটিতে পর্যাপ্ত নার্স না থাকায় ডা. জাফরুল্লাহ নিজে নারী স্বেচ্ছাসেবীদের প্রশিক্ষণ দেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ডা. জাফরুল্লাহ এবার গ্রামে গিয়ে শুরু করেন স্বাস্থ্যযুদ্ধ। ফিল্ড হাসপাতালটিকেই কুমিল্লাতে স্বাধীন দেশের প্রথম হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তুলেন। পরবর্তীতে ঢাকার ইস্কাটনে হাসপাতালটি পুনঃস্থাপিত হয়। কিন্তু গ্রামকে উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু রুপে গড়ে তোলার জন্যে " চলো গ্রামে যাই" স্লোগান নিয়ে হাসপাতালটিকে ঢাকার অদূরে সাভারে " গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র" নামে স্থানান্তর করা হয়।
হাসপাতালটিকে " গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র" নামে নামকরণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সাভারে হাসপাতালটির জন্য ৩১ একর জমিও বরাদ্দ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। সম্পূর্ণ অলাভজনক এই এই গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং ডা. জাফরুল্লাহ ১৯৭৭ সালে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ভুমিকা রাখায় 'স্বাধীনতা পুরস্কার' লাভ করেন। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পর তাঁর সবচেয়ে বড় অবদান ১৯৮২ সালের জাতীয় ঔষুধ নীতি। স্বাধীনতার পর স্বাস্থ্যখাতে যেটাকে বিবেচনা করা হয় সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হিসেবে। তাঁর প্রচেষ্টায় আমদানি ঔষুধের সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ২২৫-এ। বর্তমানে ৯০ শতাংশ ওষুধই দেশে তৈরি হচ্ছে এবং বাংলাদেশ একটি ঔষুধ রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে গড়ে ওঠার পেছনে এই মানুষটির অবদান বিশাল।
ডা. জাফরুল্লাহ স্বাস্থ্যনীতির সাথে জড়িত থাকায় বি.এম.এর স্বার্থে আঘাত লাগে। তাই বি.এম.এ ১৯৯২ সালে তাঁর সদস্যপদ বাতিল করে। বিনা বিচারে ডা. জাফরুল্লাহর ফাঁসি চেয়ে পোস্টারও সাঁটায় তারা।
কিন্তু জেনে রাখেন, উনি আপনাদের বা অন্যান্যদের মতো টাকা আর পাওয়ার এর জন্য লালায়িত নাহ। ড. জাফরুল্লাহ বাকশালে যোগ দিতে বঙ্গবন্ধুর অনুরোধ যেমন উপেক্ষা করেছিলেন, তেমনি তার বন্ধু জিয়াউর রহমানের দেয়া মন্ত্রীত্বের প্রস্তাবও ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ৪ পৃষ্ঠার একটি চিঠির মাধ্যমে। ফিরিয়ে দিয়েছিলেন এরশাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাবও!
আমরা ডা. জাফরউল্লাহকে না চিনলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বার্কলি বিশ্ববিদ্যালয় ঠিকই চিনেছে এই লোকটাকে। বার্কলি বিশ্ববিদ্যালয় "ইন্টারন্যাশনাল হেলথ হিরো" ঘোষণা করে ডা. জাফরুল্লাহকে।
বছরখানিক আগে পৃথিবীর 'শ'খানিক দেশের স্বাস্থ্যসেবা/স্বাস্থ্য অধিকার নিয়ে কাজ করা কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিল বাংলাদেশ। এই সম্মেলন যেন না হয়। তার জন্য হাজারখানিক প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছিল। কারণ তিনি বর্তমান শাসকদলের কট্টর সমালোচক। তারপরও শেষ পর্যন্ত হয়েছিল। দুনিয়ার বিভিন্ন দেশের অসংখ্য তরুন স্বাস্থ্য অধিকার নিয়ে কাজ করে যারা, তারা এসেছিল জাফরুল্লাহর দেশে। এই তরুনদের অনেকেরই একটাই দাবী ছিল। তারা একবার জাফরুল্লাহকে সরাসরি দেখতে চায়। দক্ষিণ কোরিয়া আর আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে আসা কয়েকজন তরুনের উদ্দেশ্য যেভাবেই হোক জাফরুল্লাহকে একবার দেখা।
সম্মেলনের মডারেটর একজন চিকিৎসক ডা. আব্দুন নুর তুষার বলেন, আমি সম্মেলনের ২য়দিন বিদ্যুৎ বেগে প্রেস রিলিজ লিখছি। গতদিনের সেই দল এসে হাজির এবার ভনিতা ছাড়া সরাসরি প্রশ্ন তুমি কি আমাদের জাফরুল্লাহর সাথে দেখা করিয়ে দিতে পারবে?
হ্যাঁ কিংবা না?
আমি বেশ আগ্রহ নিয়ে তাদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম কেন তারা জাফরুল্লাহর সাথে দেখা করতে চায়? উত্তরটা অপ্রত্যাশিত ছিল। কোরিয়ান দলটি হলো তারা কারখানার শ্রমিকদের স্বাস্থ্য অধিকার নিয়ে কাজ করে আর আফ্রিকার উগান্ডার দলটি সমাজ ভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক কোন একটা ক্যাম্পিংনের সাথে জড়িত। তারা তাদের সিনিয়রদের কাছ থেকে জাফরুল্লাহ সর্ম্পকে শুনেছেন। আর এই সম্মেলনে আসার অন্যতম উদ্দ্যেশ জাফরুল্লাহ সাথে দেখা করা।
নেপাল থেকে শান্তা লালের নেতৃত্বে ৬০+ ডাক্তার, স্বাস্থ্য অধিকার নিয়ে কাজ করা লোক এসেছেন। অধিকাংশের ইচ্ছে একবার জাফরুল্লাহর সাথে দেখা করবে। (উল্লেখ্য সেই স্বাস্থ্য অধিকার নিয়ে কাজ করা তরুণদের নেপাল, উগান্ডা, দক্ষিণ কোরিয়ার করোনা মোকাবেলার অবস্থা একটু খোঁজ নিতে পারেন) দেশগুলোক কতটা দক্ষতার সাথে করোনা মোকাবেলা করছে।
প্রতিটা দলের একটাই উত্তর স্বাস্থ্য অধিকার নিয়ে কাজ করা একজন কর্মীর জন্য ডা.জাফরুল্লাহ চৌধুরী "বাতীঘর" স্বরূপ।
সরকারি কিছু মধ্যবয়স্ক বা পূর্ণবয়স্ক দালাল উনার সমালোচনা করে এজন্য যে উনি সরকারের খারাপ কাজের সমালোচনা করেন, আর উনার আরেকটা অপরাধ উনি প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু আর বেগম খালেদা জিয়া উনাকে ভাইয়ের মতো শ্রদ্ধা করেন। উনি বিএনপির একজন গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শক।
আমাদের দেশে অসংখ্য তরুন জাফরুল্লাহকে নিয়ে ট্রল করছে। তার প্যান্টের চেইন খোলা, শার্টের ইস্ত্রি নেই, তার মুখ দিয়ে থুতু পড়ে।
ইটের উপর ইট
জাফরুল্লাহ কিট
ট্রল করা তরুনরা জানে না যদি তার পরিবারের কেউ কুয়েত মৈত্রী হাসপাতারে যায়, তবে কত মিনিট নিরবিচ্ছিন্ন অক্সিজেন পাবে। তারা জানে না স্বাস্থ্য মানেই চিকিৎসা না। তারা জানে না আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে প্রশাসন ও মুনাফাখোর ব্যবসায়ীরা চিকিৎসা মন্ত্রণালয় বানিয়ে ফেলেছে। ঔষুধ আর বড় বড় স্থাপনাই এখন স্বাস্থ্যের সংজ্ঞা হয়ে দাড়িয়েছে।
জাফরুল্লাহ হয়তো আপনাদের মতো আবেগী কলাম লিখতে পারেন না। তার ফেসবুকে একাউন্ট ও নেই, তিনি তার বিপক্ষে চলা প্রপান্ডার বিপক্ষে তার বক্তব্য সেই পক্ষের মত ফেসবুকে বুস্ট করেন না। কিন্তু এই আনস্মার্ট লোকই ৭১ এ ফিল্ড হাসপাতাল বানিয়েছিলেন, তিনি গণস্বাস্থ্য নামে জনগণের মালিকানায় বিশাল প্রতিষ্ঠান বানিয়েছেন। গরীবদের জন্য ৩০০ টাকায় কিডনী ডায়ালাইসিস সেন্টার বানিয়েছেন, তার প্রতিষ্ঠান কম দামে ওষুধ দেয়, বাংলাদেশ দুনিয়াব্যাপী যে ওষুধ রপ্তানীর জন্য গর্ব করেন জাতীয় ঔষুধ নীতির প্রণয়নে তিনি অন্যতম ভূমিকায় ছিলেন। ১৯৭৮ সালে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের সস্মতিতে 'আলমা আতা' ঘোষণা গৃহিত হয়। বাংলাদেশ এর অন্যতম প্রধান স্বাক্ষরকারী দেশ এবং বাংলাদেশের কিছু ব্যক্তি সরাসরি এই ঘোষণা প্রণয়নের সাথে যুক্ত হবার গৌরব অর্জন করেছেন তাঁদের মধ্যে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডা. জাফরুল্লাহ অন্যতম।
জাফরুল্লাহ নিয়ে আমি থামি.... জ্ঞান কম থাকায়।
আপনার আনস্মার্ট জাফরুল্লাহর পক্ষে সমর্থন করার দরকার নেই, শুধু নিজেকে প্রশ্ন করুন....
১. আজ ঔষুধ প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে আরো অনেক প্রতিষ্ঠান কিটের বিষয়ে আবেদন করে রেখেছে। তাদের কারো কথা কি আপনি শুনেছেন এই কয়েক দিনে?
উত্তর না। কারণ তারা মহামারিকে নিয়ে ব্যবসা করতে চায়। তারা প্রতিটি মানুষের দমের সাথে ব্যবসা করবে। গণস্বাস্থ্য কিট উম্মুক্ত করতে চায় জনস্বার্থে। তাই গণস্বাস্থ্যের সমস্যা শুনবেন, বাকি কারো সমস্যা শুনবেন না।
২. আমাদের এত নিয়ম মানা ঔষুধ প্রশাসন আছে। কিন্তু মিডফোর্ডসহ সারাদেশে ভেজাল ঔষুধ বিক্রি হয়। ভেজাল ঔষুধ বিক্রয়কারীরা রাস্তা অবরোধ করে রাখে আপনার অবাক লাগে না?
৩. আমাদের দেশে এক ঔষুধ কোম্পানী দুই মানের ঔষুধ উৎপাদন করে। একটি দেশের জন্য আর একটি রপ্তানীর জন্য! আপনার মনে প্রশ্ন জাগে না কেনো একই মানুষের জন্য দুই মানের ?
৪. আপনি চাইলে ফোন বানাতে পারেন কিন্তু আইফোন বানাতে পারবেন না। এই প্রশাসনের সরবারহকারী ভুল করে বা ইচ্ছাকৃতভাবে মুনাফার জন্য N95 মাস্ক বানিয়ে সরবারহ করেছে। এটি শুধু অপরাধই নয়, স্বাস্থ্যকর্মীদের পরিকল্পিত ঝুকিতে ফেলার সুষ্পষ্ট চেষ্টা। কোন কমিটির কে কিভাবে এই মাস্ক সরবারহকারী থেকে বুঝে নিয়েছিলেন? তার উত্তর দেওয়ার ক্ষমতা কি আছে এই প্রশাসনের?
৫. এন্টিবায়েটিকের লাগামহীন ব্যবহার, ঔষুধের লাগামহীন অযৌক্তিক দাম কোথায় তাদের নিয়ন্ত্রণ?
৬. দেশে হাজার হাজার হাসপাতাল আছে কিন্তু করোনার মত খুব সাধারন ভাইরাসের চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই কেন জানেন? কারণ আমরা জাফরুল্লাহর মত স্বাস্থ্য অধিকার কর্মীকে সমর্থন না দিয়ে ঔষুধ ব্যবসায়িদের সমর্থন করি। আর ব্যবসায়ীরা শিখিয়েছে, চিকিৎসা মানে ঔষুধ আর স্থাপনা। আমরা স্থাপনা গড়েছি, লাখ টাকায় পর্দা কিনেছি কিন্তু চিকিৎসা কই?
আফ্রিকার ছোট দেশ সেনেগালের বিজ্ঞানীরা এক ডলারে কিট বানিয়েছে সরকার তাদের পাশে দাড়িয়েছে দ্রুততার সাথে।তাই তারা এখন ৬০ ডলারে ভেন্টিলেটর বানায়।
ভারতে এক তরুনী ‘Air Providing and Virus Destroying Mask’ তৈরি করেছে। কর্তৃপক্ষ তার কাছে ছুটে গেছে, অনুমতি দিয়েছে তার আবিষ্কারের সর্বোচ্চ ব্যবহার করার জন্য।
আর আমাদের অনেক বড় বড় স্যার আছে, এই স্যারদের নিয়ে আমাদের কথা বলা নিষেধ। সেবক হবার কথা ছিল তারা ঈশ্বর হয়ে বসে আছেন! এই সময়ে ডা. জাফরুল্লাহ এগিয়ে এসেছেন আবারও দেশের জনগনের রোগ নির্ণয়ের জন্য একধরনের কীট আবিষ্কার করেছে তার গণস্বাস্থ্য হাসপাতাল।
জাফরুল্লাহকে আপনি গালি দিতে পারেন, তবে জেনে রাখুন শুধু আপনিই নয় সয়ং প্রধানমন্ত্রী ও অসহায় স্বাস্থ্য ব্যবসায়ীদের কাছে। তিনি নিজেই মিথ্যা উত্তর পেয়েছেন N95 মাস্ক নিয়ে।
সুতরাং গালাগালির সাথে শেষ কিছু কথা মনে রাখুন। করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সবার চিকিৎসায় ভেন্টিলেটর লাগে না। ধরুন ৮০ ভাগ এমনিতে সেই কথিত চিকিৎসা ছাড়া সুস্থ হয়। সেই ৮০ ভাগের মধ্যেই আপনি হয়তো থাকবেন ।
কিন্তু আপনি কিভাবে সুস্থ?
হাসপাতলে না গিয়েও আপনি সুস্থ! ঔষুধ খেলেন না! ঔষুধ কোম্পানীর ব্যবসা হল না! তা-ও আপনি সুস্থ!
হ্যাঁ। ডা.জাফরুল্লাহ চৌধুরী দুনিয়াব্যাপী সেই চিকিৎসা অর্থাৎ রোগের প্রতিকার/প্রতিরোধ নিয়েই লড়াই করেন।
আপনি মাছ চোর জাফরুল্লাহকে চিনেন। কিন্তু পৃথিবীর স্বাস্থ্য অধিকার নিয়ে কাজ করা মানুষরা ভিন্ন জাফরুল্লাহকে চিনে। তারা বিশ্বাস করে জাফরুল্লাহ গণমানুষের জন্য সহজলভ্য ও মৌলিক চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তির লড়াইয়ের প্রথম সারির যোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধ না করেও মুক্তিযুদ্ধের গল্প বলে বেড়ানো ড. জাফর ইকবালেরা সর্বমহলে সমাদৃত কারণ, তারা চাটুকারিতা করতে জানেন, দালালী করতে জানেন, জানেন তেল দিতে!
মুক্তিযুদ্ধ করেও, গণমানুষের জন্য কাজ করেও ডা. জাফরুল্লাহরা হন বিতর্কিত। কারন, উনারা চাটুকারিতা করতে জানেন না, দালালী করতে জানেন না, জানেন না তেল দিতে!
তাই নষ্ট রাজনীতির বিভাজনে থাকা তরুণ প্রজন্মের প্রতি অনুরোধ, এই মানুষটাকে যদি সম্মানিত করতে নাও পারি, অন্ততপক্ষে যেন ছোট না করি!
.................জয়
Comments
Post a Comment