আজ ফাগুনের আগুন বনে- জনহীন মনের ময়দানে তোমার স্ববিরোধীতার কথা কই! তুমি এখন ক্ষমতাসীন, আমি ভিন্নমতের সই! আজ ফাগুনের রাঙা দিনে- তুমি মনের ময়দানের মহাসমাবেশে এসে আমায় ঘোষণা দিলে অবাঞ্ছিত, তুড়ি দিয়ে হেসে। তোমার আমার পথ করলে পৃথক, ঘোষণা দিয়ে আমি হলাম বহিস্কৃত, তোমার থেকে প্রিয়ে। তোমার সাথে হয়নি বলে আমার সহমত কৌশলে কি তাই আমারে করলে আহত, ছিড়ে দিলে দোহের মাঝে ছিল যা মায়ার জাল আমার বুকের রক্তে তোমার মসনদ হল লাল। আজ বসন্তের সমীরণে- চাই যে তোমার ক্ষমতার অবসান তোমার বেদীজুড়ে করলে জারি, নিষেধাজ্ঞার বাণ! নিষেধাজ্ঞা মানব না আর, মানবনা’ক শোষণ চলবেনা আর ভিন্নমতের পরে দলন, অপশাসন। তোমার চোখে চেয়ে বলব এসব, সাহস আমার কই তাই পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে লুকিয়ে বেড়াই সই! নাই জনমত, জনবল আমার, নাই সমর্থনের বাড়াবাড়ি বহিস্কৃত আমার পরে কিসের এত কড়াকড়ি কিসের তোমার শঙ্কা? আমি অক্ষম পুনুরুদ্ধারে তোমার বেদীলঙ্কা! তবু আর রবনা তোমায় ছেড়ে স্বেচ্ছা নির্বাসনে আমার দাবি মানতে হবে আজকে রণাঙ্গনে, তোমার তরে আত্মাহুতি, আমরণ অনশন চাই সুদৃষ্টি তোমার, মহারাণীর কৃপা পণ। আজকে লড়াই রাজ্যহারার, রাজ্যপালের সনে ব...
❤“ তিনি আহমদ ছফা ”♥ একবার খালেদা জিয়া আহমদ ছফাকে ফোন করে দাওয়াত করেছিলেন। তিনি বেগম জিয়াকে বলেছিলেন, যেতে পারি এক শর্তে। আমাকে নিজের হাতে রান্না করে খাওয়াতে হবে। শেখ হাসিনার কাছে গিয়েছিলাম। তিনি আমাকে রান্না করে খাইয়েছিলেন। খালেদা জিয়ার রান্না করার সময়ও হয়নি, ছফা ও যেতে পারেননি। খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছফা র আরেকবার ফোনালাপ হয়েছিল। উপলক্ষ ছিল এনজিও ব্যুরো থেকে ‘বাংলা-জার্মান সম্পীতি’র রেজিস্ট্রেশনের ব্যাপারে। ছফা ই বেগম জিয়াকে ফোন করেছিলেন। ফোনটি ধরেছিলেন তাঁর পিএস। ছফা বিনয়ের সঙ্গে পিএসকে বলেছিলেন, ম্যাডামকে কি একটু দেয়া যাবে? আমি তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চাই। পিএস সাহেব জানতে চাইলেন, আপনি কে? ছফার জবাব, আমি আহমদ ছফা। পিএস সাহেব ফের জানতে চাইলেন, কোন আহমদ ছফা? পিএস-এর কথায় ছফা ভয়ানক রকম খেপে গিয়েছিলেন। তিনি রাগলে সচরাচর যে গালটি তাঁর মুখ দিয়ে বা’র হত সেটি বেরিয়ে গিয়েছিল। তারপর তিনি কোন রকম ভূমিকা না করে বললেন, বাংলাদেশে আহমদ ছফা দু’জন আছে নাকি? ছফা কথা না বাড়িয়ে রিসিভারটি ধপাস করে রেখে দিয়েছিলেন। পিএস সাহেব ছফার এ অশোভন...
হ্যাপী আখন্দ একজন বাংলাদেশী গায়ক এবং সংগীত আয়োজক। তাঁকে বাংলাদেশী সঙ্গীতের বরপুত্র বলা হত। তিনি আর ডি বর্মণ,আববাসউদ্দীন,মান্না দে, সমর দাশের মতো সংগীতজ্ঞের প্রশংসা আর স্নেহ অর্জন করেছিলেন নিজ যোগ্যতায়। হ্যাপী আখন্দের জন্ম হয় ঢাকার পাতলা খান লেনে ১২ অক্টোবর, ১৯৬৩। জন্মের সময় তাঁর ভাই লাকী আখান্দ তাঁর হাতে একটি পয়সা গুজে দিয়েছিলেন এবং প্রায় ৪-৫ দিন পর তিনি হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পরও তাঁর হাতে গুজে দেওয়া পয়সাটা ছিল। ছোটবেলায় ভাত খাওয়ার সময় তিনি কাকদের ডেকে ডেকে ভাত খাওয়াতেন। তিনি কোন বিষয় সম্পর্কে একবার শুনলেই মুখস্থ করে ফেলতেন। মাত্র ১০ বছর বয়সে তাঁর হাতে গিটারের তাল ধরা দেয়। শুরুর দিকে হ্যাপী আখন্দ ভাই লাকী আখন্দের সাথে বিভিন্ন কনসার্টে অংশ নিতেন তবলা বাজানোর জন্য। হ্যাপী আখন্দ 'উইন্ডি সাইড অব কেয়ার' নামে একটি ব্যান্ড গড়েছিলেন যা ছিল একটি পাকিস্তানি ব্যান্ড।সেখানে তিনি দক্ষ হাতে গিটার বাজানোর পাশাপাশি গানও গাইতেন। কলকাতার মধু মুখার্জি ছিলেন তাঁর ছাত্র। ১৯৭৫ সালে 'আবার এলো যে সন্ধ্যা' গানটি লিখেছিলেন এসএম হেদায়েত এবং সুর করেছিলেন লাকী আখন্দ।...
Comments
Post a Comment