শহীদ মিনারে রেখে শ্রদ্ধা জানিয়ে কি হবে???


২০১৪ সালের কথা, “এ আর রাহমানসহ বিদেশী শিল্পীরা এসেছিল বাংলাদেশে। টি-২০ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। কনসার্টের একটা ভি আই পি টিকিটের দাম ছিল ৭৫,০০০ টাকা। ১০০০ ডলার। তারপরেও হাউজফুল দর্শক। তিল ধারণ ঠাইঁ নাই। বিদেশী ব্যান্ডদের ভিড়ে সেবার দেশের সেরা ব্যান্ডগুলো ছিল অবহেলিত। আমন্ত্রিত হয়েও দ্বিতীয় শ্রেণির ট্রিটমেন্ট পেয়েছিলেন আইয়ুব বাচ্চুরা। মাত্র ২০ মিনিট সময় দেয়া হয়েছিল। ওয়ার্মআপ ব্যান্ড হিসেবে বাঁধা সময়ে পারফর্ম করতে দেয়া হয়েছিল ‘এল আর বি’-কে। গান গাইলেন। তারপর, আইয়ুব বাচ্চু বেশ দুঃখ করে দর্শকদের বলেছিলেন- “আপনারা হাতের তালিটা – বিদেশী গানের জন্য তুলে রাখুন। এ আর রাহমান” এর জন্য তুলে রাখুন। বাংলা গান শুনতে এত কিছুর প্রয়োজন নেই।” তারপর মঞ্চ থেকে নেমে গিয়েছিলেন। তারপর পেইজ থেকে দূঃখ প্রকাশ করেছিলেন। কিভাবে রিহার্সাল ছাড়া, গ্রীন রুম দেয়া হয় নি। মূল সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার না করে; আলাদা সাউন্ড দেয়া হয়েছিল। দেশীয় শিল্পীদের জন্য। কত অপমান ছিল, নিজের দেশের মাটিতে। আজ শোকের দিনে। আজ স্মৃতিচারণের দিনে। ওই জাতিগত দৈন্যতার কথাটাও মনে পড়ছে। কোলকাতার বন্ধুরাও পোস্ট দিয়ে শোক জানাচ্ছে, স্মৃতিচারণ করছে আজ। তাই নিজেদের মুখটা আয়নায় আবার দেখার কথা মনে পড়ছে। এই শোকের সম্পূরক হিসেবে।

আসুন দাঁত থাকতে দাঁতের গুরুত্ববুঝি, মানুষ মরে যাওয়ার পর মরণোত্তর এতো শ্রদ্ধা, আবেগ, ভালোবাসা দেখিয়ে কি হবে??? যারজন্য এতকিছু তিনিই যদি না জানেন!

Comments

Popular posts from this blog

উপসংহার

আহমদ ছফা

বাংলাদেশী সঙ্গীতের বরপুত্র : হ্যাপী আখন্দ